স্মার্ট বিল্ডিং
স্মার্ট বিল্ডিং হচ্ছে হাইপার কানেক্টেড ভবন যেটা নকশা করা হয়েছে সম্পদের পূর্ণ ব্যবহারের জন্য। এগুলোর নকশা থেকে শুরু করে এগুলোর কার্যকারিতা পর্যন্ত, সবক্ষেত্রেই এগুলোকে শক্তির কার্যকর ব্যবহার এবং স্পেস অপটিমাইজেশন দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়। স্থাপত্যবিদ্যায় এগুলো অসীম সম্ভাবনা বহন করে।
স্মার্ট বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে অপরিহার্য উপাদনগুলো হলো, এনার্জি অপটিমাইজেশন, টেকসই উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনগুলোর সাহায্যে বিল্ডিং বা ভবনের মধ্যে নানা রকম স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া মাধ্যমে এনার্জি বা শক্তি এবং পানি সঞ্চয় করা সম্ভব।
একদিকে, এই স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিল্ডিং বা ভবনগুলো নিজেরা যে শক্তি উৎপাদন করে সেটা নিজেই ব্যয় করে, এটা সেলফ কনজাম্পশন সমর্থন করে। অপরদিকে, অতিরিক্ত উৎপাদিত শক্তি গ্রিডে যুক্ত করে। স্মার্ট বিল্ডিংগুলো, কানেকটিভিটির মাধ্যমে বিশাল পরিমাণ তথ্য বা ডাটা সংগ্রহ করে এবং সেগুলো মূল্যায়ন করে তারপর বিল্ডিং বা ভবনের বিভিন্ন সিস্টেমে এনার্জি সরবরাহ অ্যাডজাস্ট করে থাকে। এক্ষেত্রে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার বা রিসোর্স অপটিমাইজেশন করে এবং অপচয় রোধ করে। স্মার্ট বিল্ডিং সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে এবং এটা এখন ট্রেন্ড হয়ে উঠছে। কারণ, এটা মানুষের কল্যাণ অথবা ভাইরাস এবং সংক্রমণের বিষয়টি বুঝতে পারে।
যারা এই বিল্ডিং বা ভবন ব্যবহার করে অথবা যারা এতে বসবাস করে সেসব মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য BMS অথবা বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নানা রকম ডাটা বা তথ্য পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করে। সোলার প্যানেল যেটা ফ্যাসাডস এবং এনার্জি স্টোরেজ, চেহারা চিহ্নিতকরণ থেকে শুরু করে তাপমাত্রা পরিমাপক হিসেবে কাজ করে, এই সব উপাদান স্মার্ট বিল্ডিং এর অংশ। রিসোর্স অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে, স্থাপত্যবিদ্যা এখানে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ, এটা সব স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য এবং স্থানের সুবিধা ব্যবহার করে এয়ার কন্ডিশন ব্যবহার কমায়, তাপ এবং বিদ্যুতের ব্যবহার কমায়।